
প্রাইম প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি যদি সোনারগাঁ সন্তান হতাম তাহলে তর হাত ভেঙ্গে দিতাম । খোকা তুমি অনেক বোকা…খোকা তুমি অনেক বোকা। তুমি বুঝতে পারোনি আনোয়ার হোসেন কে চিনতে পারোনি ।আনোয়ার হোসেন নারায়ণগঞ্জের মাটির সন্তান। তার হাত ধরে অনেক নেতা গঠিত হয়েছে। এই আনোয়ার হোসেনের শিষ্য সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান। তারাই বলেন আনোয়ার হোসেন আমদের গুরু।
শনিবার ২১ নভেম্বর বিকেলে চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে সোনারগাঁ জি আর ইনস্টিটিউশন স্কুলের মূল ফটকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে মহানগর আওয়ামী লীগের মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে খোকা তুমি এতো বড় দুঃসাহস তুমি কোথায় পেলে? তুমি আনোয়ার হোসেনের নাম ভেঙ্গে দিয়েছো। আজকে তুমি এমপি হয়েছো আওয়ামীলীগের কাঁধে ভর দিয়ে। নির্বাচন ছাড়া তুমি এমপি হয়েছো। তোমার যদি নির্বাচন করতে সাহস হয়, আওয়ামীলীগের একটি কর্মীর সাথে নির্বাচনে হারবে তুমি।
প্রসঙ্গত, জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে সোনারগাঁয়ের জিআর ইনিস্টিটিউশনের মেইন গেট ও ৯০ ফুট লম্বা বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন আনোয়ার হোসেন। ওই সময়ে স্কুলের গেটের সামনে আনোয়ার হোসেনের নামফলকটি লাগানো হয়। গত মঙ্গলবার গত ১৭ নভেম্বর ওই স্কুলে সভায় গেলে নামফলকটি স্থানীয় এমপি ও জাতীয় পার্টি নেতা লিয়াকত হোসেন খোকার নজরে পরে। এরপর তিনি রেগে গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উপর চটে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খোকা এমপি রাগাম্বিত হয়ে চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর তার লোকেরা এসে নামফলকটি ভেঙ্গে ফেলে।
পরে নামফলক ভাঙ্গার বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে অস্বীকার করেন লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এ উন্নয়ন কাজ জেলা পরিষদের নয়। আমার প্রকল্পে তিনি নামফলক লাগালেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কী আমার উপরে?
এ ঘটনার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছেন। তারা লিয়াকত হোসেন খোকাকে কোনোভাবেই ছাড় দিবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
No posts found.