৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, রাত ৮:২৭

শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে উপেক্ষা করে মামুদপুর বিদ্যালয়ে কোচিং

প্রাইমনারায়ণগঞ্জ.কম

করোনা প্রার্দুভাবের মাঝে সরকারের নিষেধ অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা এলাকায় মামুদপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে কোচিং চলছে। করোনার সংক্রমণ যাতে শিক্ষার্থীদের মাঝে না ছড়ায়, তাই এ বছরের ১৬ মার্চ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

একই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। এই সময় শিক্ষার্থীদের বাসায় থাকতে হবে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রী। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনা মানছে না ফতুল্লা কুতুবপুর ইউনিয়নের মামুদপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। কোচিং পরিচালনা বিদ্যালয়ের আত্মগাতি সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন এলাকাবাসি।

শনিবার ২৫ জুলাই সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এক সাথে জটলা হয়ে কোচিং শেষ করে বই খাতা নিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছে।

স্থানীয়বাসিন্দারা জানান, যেখানে সরকার করোনা ভাইরাসের কারনে এইচএসসি পরীক্ষা বন্ধ রাখছে, ওই খানে তারা এই ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোচিং পরিচালনা করছে। এই ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে যে করোনা হবে না তার নিশ্চয়তা কতটুকু। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ওই বা কি করে এত সাহস পায় সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে এই ভাবে কোচিং পরিচালনা করার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মামুদপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত কোচিং হয়। গনিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান বিষয়ে কোচিং করানো হয়। স্যারেরা কোচিং চালু করছে তাই আমাদের বাধ্য হয়ে যেতে হয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

৫ম শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ৫ম শ্রেণীর কোচিং করানো হয়। তাই আমরা কোচিং করতে আসছি। আমাদের স্কুল ড্রেস পরে আসতে স্যারেরা না করছে তাই ড্রেস পরে আসি নাই। ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমাদের ছাড়াও ৮ম এবং ১০ম শ্রেণীর কোচিং এবং সপ্তাহের অন্যান্য দিনে শিশু শ্রেণীসহ সকল শ্রেণির পাঠদান করানো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছে। অথচ সরকারের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে কোমলমতি শিশুদের নিয়ে ক্লাসের নামে কোচিং পরিচালনা করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনেকটা জোর পূর্বক ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এ কোচিং পরিচালনা করছে তারা। যেখানে আমরা পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি ওই খানে তারা এই কোচিং করার নামে আমাদের থেকে টাকা আদায় করছে। আমরা নিরুপায় হয়ে তাদের টাকা দিতে বাধ্য। প্রশাসন যদি তাদের বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নেয় তাহলে হয়ত বন্ধ হত।

মামুদপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গোলাম আজ্জম প্রাইম নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমি কোচিং বন্ধ রাখতে বলছি। এটাতো করানোর কথা নয়। আমি বিষয়টা দেখছি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রেবেকা সুলতানা বলেন, খোজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যস্থা নেয়া হবে। আমরা বিষয়টা দেখছি।

জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা সকলকে মেনে চলতে হবে। সরকারের উর্ধে কেউ না। বিষয়টা খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাছাইকৃত সংবাদ

No posts found.