
প্রাইম প্রতিবেদকঃ
নারায়নগঞ্জের দেওভোগ আদর্শনগর এলাকায় দিন-দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে ব্যবসায়ী শরীফ হোসেনকে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
সোমবার ১৯ অক্টোবর সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত শরীফের বাবা মানববন্ধনে বলেন, গত ১লা এপ্রিল সকালে আমার বাড়ীর সামনে একমাত্র ছেলে শরীফ মাদবর (২৭) কে ধারালো অস্ত্রধারী একদল সন্ত্রাসী কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যাকারীদের ছবি ঘটনাস্থলের পাশে একটি দোকান থেকে সিসি টিভি ক্যামেরা ফুটেজ পুলিশ সংগ্রহ করে। ঘটনার দিন মামলা দায়ের করা এবং ভিডিও ফুটেজের সকলকে চিনতে না পারায় আমি ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করি। পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখতে পাই হত্যাকারীরা তিনধাপে মোট ৪১ জন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে অংশ গ্রহণ করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলাটি তদন্ত করে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর শাহাদাত হোসেন। তিনি আমাকে কিছু না জানিয়ে মন গড়া ব্যক্তিদের স্বাক্ষী করে গত ৩০শে জুন ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৩ জনকে অব্যাহতি চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এই চাজশীর্টের মাধ্যমে আমি ন্যায় বিচার পাব না বলে আশঙ্কা করছি। তাই আমি প্রকৃত খুনিদের মামলা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিলের প্রত্যাশা করছি।
শরীফের বাবা আলাল মাদবর বলেন, আমার ছেলেকে হত্যায় যারা অংশ নিয়েছিল তাদের মধ্যে শাকিল, লালনসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজ, নারী নির্যাতনকারী হিসেবে পরিচিত। হত্যাকারীরা এলাকায় অপকর্ম করার কারণে আমার ছেলে অনেক সময় তাদের বাধা দিত। এই কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করে।
তাছাড়া কাশীপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার শামীম আহমেদের শেল্টারে সন্ত্রাসীরা অপকর্ম করে বেড়ায়। আমি একাধিকবার চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ঘটনা জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এমকি হত্যাকান্ডের কিছুক্ষণ আগেও আমার ছেলে শামীম মেম্বারকে ফোন করেছিল সে আসেনি বা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
মানববন্ধনে শরীফের মা রহিমা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে ছেলে হত্যার বিচারের দাবী জানান।
No posts found.