
প্রাইম প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জে নতুন করে চাঞ্চল্যসৃষ্টি হয়েছে গুমে ও খুন হওয়া মামুন জীবত ফিরে আসায়। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে গুমের মামলা দায়ের করে মামুনের পিতা। সেই মামলায় সিআইডি ৬ জনকেই হত্যার আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে। তবে নিহত মামুন জীবিত ফিরে আসার ঘটনা আরেক জিসামনি কান্ডের প্রকাশ মিলেছে।
এ ঘটনায় মামুনের প্রেমিকা তাসলিমাকে কিছু না করেই প্রায় দেড় বছর কারাভোগ করতে হয়েছে।মামুনের পরিবারের অত্যাচারে তাসলিমার পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়েছে।
তাসলিমার মা বলেন, চাঁদপুরের মতলবে মামুন আর আমাগো বাড়ি পাশাপাশি। মামুন হারায়া যাওনের ২ বছর আগে মাইয়ারে ফোনে বিরক্ত করতো মামুন। তখন ওরা দুজনেই ছোট ছিল। তাসলিমার তখন ১৪/১৫ বছর হইব। আমরা না করে দিসি যাতে ওরে বিরক্ত না করে। যদি বিয়া করতে চায় তাইলে আলাদা হিসাব।
কিন্তু এর পর থেকে আর কোন যোগাযোগ নাই আমার মাইয়ার সাথে। মামলার ৫ মাস আগে আমার মাইয়ার বিয়া হয়। একদিন এলাকা দিয়া মাইয়া আর মাইয়ার জামাই যাইতাসিলো তখন আবুল কালাম, কালামের মাইয়া, কালামের বউ মিল্লা তাসলিমা আর ওর জামাইরে ইচ্ছামত মারলো। মারার সময় কইলো আমার মাইয়া নাকি মামুনরে মাইরা ফেলসে। ওই সময় তাসলিমার পেটে বাচ্চা। মাইরের চোটে মাইয়ার বাচ্চাও নষ্ট হইয়া গেসে তখন।
মামুনের বাপে পিটানের কয়েকদিন পর মতলব থানায় যায় আমাগো নামে মামলা করতে। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয় নাই। ২ মাস পরে হেরা ফতুল্লা থানায় আইসা মামলা করছে। সেই মতলব থেইক্কা আমরা আইসা আইসা হাজিরা দিতাম। আমার মাইয়ারে রিমান্ডে নিয়ে ইচ্ছামত মারছে। মাইয়া হাটতে পারতো না। ১ বছরের বেশী সময় এই মামলায় জেল খাটছে। এই বিচার এখন কে করবো? ওর বাচ্চা ফিরায়া দিতে পারবো? এই ৬ বছরের অশান্তি ফিরায়া দিতে পারবো?
No posts found.