১০ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, রাত ১২:০৮

ক্ষোভে দূরত্ব না মেনেই ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে

প্রাইমনারায়ণগঞ্জ.কম

মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও কর্মহীন-অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার শর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতীত সকল অফিস-আদালত, শিল্প-কারখানা চালু করা হলেও জনজীবন এখনো স্বাভাবিক হয়ে উঠেনি। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ বিল জনসাধারণের কাধে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে। ফলে চরম ক্ষোভ নিয়ে তপ্ত রোদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে বিদ্যুৎ বিল দিতে হচ্ছে মানুষকে।

সরেজমিনে নগরীর চাষাড়াস্থ ওয়ান ব্যাংক, উকিল পাড়াস্থ এবি ব্যাংকসহ টানবাজারে বিদ্যুৎ বিল গ্রহনকারী ব্যাংকগুলোর সামনে দেখা গেছে লম্বা লাইন। এ লাইনগুলো অনেকদূর পর্যন্ত চলে গেছে। লাইনে দাঁড়ানো মানুষগুলো পরস্পর থেকে নূন্যতম দুরত্ব বজায় রাখেনি। কেউ কেউ মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ছাড়াই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অর্থাৎ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আইইডিসিআর যেসব স্বাস্থ্য বিধির নির্দেশনা দিয়েছেন যেমন জনসমাগম এড়িয়ে চলা, একজনের থেকে আরেকজনের মাঝে দূরত্ব বজায় রাখা, কোলাকুলি কিংবা হ্যান্ডশেক না করা এসবের কোনোটাই লাইনে দাঁড়ানো মানুষগুলো মানছেন না। ফলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের যে উদ্যোগ তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

এদিকে, সামাজিক দূরত্ব না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে লাইনে দাড়ানো এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, আমরা কারেন্ট বিলের চাপে চাপা পড়ে আছি, আর আপনে আছেন সামাজিক দূরত্ব নিয়ে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন দোকান-পাট বন্ধ থাকার পর কিছুদিন ধরে চালু করলেও ক্রেতা না থাকায় বেচাবিক্রি নেই, আয় রোজগার বন্ধ। কিন্তু না খেয়ে থাকলেও বিদ্যুৎ বিল দিতে হচ্ছে। তাই ভাই টেনশনে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মাথায় নেই।

তপ্ত রোদের কারণে বিল দিতে মানুষগুলো স্বাস্থ্যঝুকির চিন্তা বাদ দিয়ে একটি গাছের নীচে জড়ো হয়ে রয়েছে একটু ছায়ার জন্য, একটু স্বস্তির আশায়। প্রখর এ রোদে দাড়িয়ে বিল দিতে আসা মানুষগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গ্রাহকদের অনেকে বলছেন, বিদ্যুৎ বিল পরে দেয়ার ব্যবস্থা করলে আমাদের তথা সাধারণ জনগনের জন্য ভালো হতো। এজন্য ডিপিডিসির জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলছেন তারা। তাদের দাবি, মহামারী করোনাকালীণ সময়ের বিদ্যুৎ বিল যেন পরে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয় কিংবা করোনাভাইরাস পরিস্থিতির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার পরই ডিপিডিসি যেন গ্রাহকদের কাছ থেকে বিলটা গ্রহণ করে। তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকারের পক্ষ থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মানা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা।

আরও পড়ুন: , , ,

বাছাইকৃত সংবাদ

No posts found.