৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, রাত ৯:৩৬

খানিকটা স্বস্তি টিসিবির পণ্যে

প্রাইমনারায়ণগঞ্জ.কম

একে তো করোনার প্রভাব, তার ওপর কোরবানির ঈদকে ঘিরে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। সব মিলিয়ে তেল, চিনি, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামছাড়া। নিন্ম ও মধ্যবিত্ত তো বটেই, হিমশিম খেতে হচ্ছে উচ্চবিত্তদেরও। যখন বাজারের উত্তাপে পুড়ছে ভোক্তা তখন অনেকটাই স্বস্তির বৃষ্টির মতো হয়ে উঠেছে সরকারি বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ন্যায্য মূল্যের পণ্য।
কোরবানির ঈদকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে ৬টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। করোনা সংকটে খরচ বাঁচাতে ভর্তুকিমূল্যে তিনটি পণ্য (চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল) কিনতে সোমবার নিন্ম আয়ের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদেরও ভিড় করতে দেখা যায়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ও মডেল গার্মেন্টস গলির মুখে টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রের ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিলাররা জানান, মানুষকে সুশৃঙ্খলভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়। টিসিবির ট্রাক থেকে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়।
একজন ক্রেতার কাছে সর্বোচ্চ দুই কেজি বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া মসুর ডাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে একজন ক্রেতার কাছে সার্বোচ্চ এক কেজি বিক্রি করা হয়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা দরে একজন ক্রেতার কাছে সর্বোচ্চ ৫ লিটার বিক্রি করা হয়েছে।

টিসিবি সূত্র বলছে, কোরবানির ঈদ ঘিরে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রিতে ডিলারদের পর্যাপ্ত পণ্য দিয়ে প্রতিদিন স্পটে পাঠানো হচ্ছে। পণ্যের কোনো সংকট নেই। সব স্তরের মানুষ কিনতে পারবেন। একজন ডিলারকে প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ৬০০-৭৫০ কেচি চিনি, ১৫০-২০০ কেজি মসুর ডাল ও এক হাজার থেকে বারোশ’ লিটার সয়াবিন তেল দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রে পণ্য কিনতে আসা মো. হারুন মিয়া বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আয় নেই। যে কারণে পরিবার নিয়ে চলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
তাই এখানে বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কমে পণ্য বিক্রি হচ্ছে জেনে কিনতে এসেছি। মসুরের ডাল মাত্র এক কেজি বিক্রি হচ্ছে। এই পণ্যটা আরও বেশি করে বিক্রি করলে ভালো হতো। কারণ অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে মাত্র এক কেজি ডাল কিনতে পেরেছি।

একই স্থানে টিসিবির ডিলার মো. কে এম হারুন অর রশিদ প্রাইম নারায়ণগঞ্জকে বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে তিনটি পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ভালো বিক্রি হয়েছে। ক্রেতা সমাগমও ভালো ছিল। তবে আগে টিসিবির এই বিক্রয় কেন্দ্রে নিন্ম আয় ও খেটে খাওয়া মানুষের ভিড় বেশি দেখা যেত, এখন করোনা পরিস্থিতিতে অনেক মধ্যবিত্তও ভিড় করছেন। সেটা চেহারা দেখেই টের পাচ্ছি।
মডেল গার্মেন্টস গলির মুখের টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রে পণ্য কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান বলেন, এখানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা। কিন্তু বাজারে কিনতে হলে ৬৫ টাকা ব্যয় করতে হতো। সেক্ষেত্রে কেজিতে ১৫ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এছাড়া লিটারে ২০-২৫ টাকা সাশ্রয় হয়েছে সয়াবিন তেল কিনতে। আর মসুর ডাল পাচ্ছি ২০-৩০ টাকা কমে। তিনি বলেন, কিছুটা সাশ্রয়ের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি।

জানতে চাইলে টিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, টিসিবির বিক্রিয় কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে পণ্য বিক্রির জন্য প্রতিটি ডিলারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অনেক সময় আমরাই বিষয়টা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করছি। আশা করি সবকিছু ঠিক থাকবে।

বাছাইকৃত সংবাদ

No posts found.