
নগরীর ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদে পুলিশ অভিযান চালালে জিয়া হলের সামনের হকাররা এতদিন ফুটপাত থেকে জিয়া হলের ভেতরে অবস্থান নিতো। গত দুদিন ধরে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর পর তারা ভেতরে চলে যায়। কিন্তু এবার জিয়া হলের ভেতর থেকেও হকারদের উচ্ছেদ করেছে পুলিশ।
রবিবার বিকেলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে সদর থানা ওসি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে জিয়া হলের ভেতর থেকে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়।
জানা গেছে, অতীতেও উচ্ছেদকালে হকাররা জিয়া হলের ভেতরেই অবস্থান নিতো। আর উচ্ছেদ অভিযানকারী টিম চলে গেলে বা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকাকালীণ সময়ে তারা আবার ফুটপাত দখল করে।
ভিতর-বাইরের গল্পের পিছনে জিয়া হলের এক কর্মচারী প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতো বলেও জানা যায়। তবে এবার জিয়া হলের ভেতরে অবস্থানকৃত এসব হকারদের উচ্ছেদ করেছে সদর থানা পুলিশ। আর সদর থানা পুলিশের এ অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে সচেতন মহল সহ নগরবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার পুলিশি উচ্ছেদের ফলে এসব হকাররা জিয়া হলের গেইটের ভিতরে বাশ-ত্রিপল দিয়ে তাদের অবৈধ দোকান গড়ে তুলেছে। সবগুলো দোকানই জিয়া হলের ভেতরে। বাউন্ডারী দেওয়ালের ভেতরে ফুটপাতের সঙ্গে ঘেঁষে দোকান বসিয়েছিলো তারা। আর প্রাচীরের ফাঁকা দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে বেচাকেনা করতো। কিন্তু গতকাল রবিবার বিকালে সদর থানা পুলিশ জিয়া হলের সামনে ও ভেতর থেকে এসব হকারদের উচ্ছেদ করে দেয়।
উত্তর চাষাড়া এলাকার বাসিন্দা রাসেল মিয়া জানান, হকারদের বুদ্ধির কাছে কোনোভাবেই পেরে উঠছিলো না পুলিশ বা উচ্ছেদকারী টিম। হকাররা উচ্ছেদ থেকে বাঁচার জন্য নতুন ফন্দি এটেছিলো এতোদিন। ‘দোকান থাকতো কাঁটাতারের ভেতরে আর ক্রেতারা থাকতেন ফুটপাতের উপরে’ এমন পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলো জিয়া হলের সামনের এসব হকাররা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। কঠোর অভিযানের ফলে এসব হকারদের উচ্ছেদে সফল হয় সদর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, নগরীর কোথাও ফুটপাত বসতে দেয়া হবে না।
সদর ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা আজ (গতকাল) সন্ধ্যায়ই জিয়া হল থেকে তাদের উচ্ছেদ করেছি। ওরা যদি আবার বসে, তাহলে আবার উচ্ছেদ করবো।
No posts found.