
নগর প্রতিবেদকঃ
বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ৩রা অক্টোবর সকালে নগরীর সিন্যামন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। এতে এ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলাউদ্দিনের ছেলে এড. মামুন সিরাজুল মজিদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চিহ্নিত রাজাকারপুত্র মাকসুদ স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি হয়ে কাজ করছে। মাকসুদ সাধারণ মানুষের জানমাল থেকে শুরু করে অর্থ ও ভূমি আত্মসাত করছে এবং সরকারকে জমির খাজনা না দিয়ে দেশের ক্ষতি করছে। তার ভূমিদস্যুতার ইতিহাস ব্যাপক।
রেলওয়ের কমার্শিয়াল লীজকৃত জায়গা জবরদখল করে দোকান করে দেয়ার অজুহাতে ২৭৫ জন লোকের কাছ থেকে জনপ্রতি অগ্রীম ২/৩ লক্ষ টাকা হিসাবে প্রায় ৬ কোটি টাকা নিয়ে এর মধ্যে ১৫০জনকে দোকান বুঝিয়ে দেয় এবং বাকী ১২৫ জনের প্রায় ২ থেকে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাত করে। এ সব টাকা মাকসুদ চেয়ারম্যান একাই আত্মসাত করেন বলেও উল্লেখ করেন এড. মজিদ।
এছাড়া, এনায়েত নগর ইউনিয়নের মাসদাইর নিবাসী নিয়াজুল হক রানা জানান, বন্দর থানায় বাড়ৈ পাড়া মৌজায় তার ৩৭ শতাংশ জায়গা ছিলো। সে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পর সুযোগ পেয়ে গভীর রাতে এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে জমির মাটি কেটে নিয়ে যায় । ফলে বসবাসযোগ্য এ জমিটি এখন বিশালাকার একটি পুকুরে পরিনত হয়েছে।
এখানে আরও উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে মাকসুদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গত দশ বছরে প্রায় ২ লাখ অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দেয়ার বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ২৭ নং ওয়ার্ডের ১২ হাজার পরিবারের কাছ থেকে বৈধ গ্যাস লাইন দেয়ার কথা বলে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ করা হয়। আত্মসাতকৃত অর্থের পরিমাণ প্রায় ৭২ কোটি টাকা বলে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
সিন্যামন রেষ্টুরেন্টের এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলাউদ্দিন, বুলবুল আহম্মেদ, ভুক্তভোগী মোঃ জহির, মোঃ ইসলাম পল্লু, নজরুল ইসলাম, কাদির ডিলার (ইউনিয়ন সদস্য)।
No posts found.