
বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে ১ সন্তানের জননী আসমা বেগম (২৩) অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বন্দর ঝাউতলা এলাকায় এ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে।
বন্দর ফাঁড়ী পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে আত্মহননকারী গৃহবধূর মা হাজেরা বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ বছর পূর্বে বন্দর থানার পূর্ব হাজীপুর এলাকার মৃত আহাদ আলী মিয়ার মেয়ে আসমা বেগমের সাথে একই থানার বন্দর ঝাউতলা এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে রাজিবের ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসাদের ২ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামী রাজিব পেশায় একজন যোগালী। গত কদিন পূর্বে স্ত্রী আসমা বেগম তার স্বামীকে না জানিয়ে প্রতিবেশী জনৈক এক মহিলাকে দুইশত টাকা ধার দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বামী রাজিব মিয়া টাকা ধার দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী আসমা বেগমের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী রাজিব তার স্ত্রীকে গালমন্দসহ বেদম মারধর করে। এ ঘটনায় স্ত্রী আসমা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
বন্দর ফাঁড়ী ইনর্চাজ এসআই গোপাল জানান, সংবাদ পেয়ে আমিসহ আমার সঙ্গীয় র্ফোস দ্রুত বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করি। পরে লাশের সুরুতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করি। এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট আসলে বুঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।
No posts found.