৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, বিকাল ৫:৫০

সোর্সের মাধ্যমে টাকা নেয় দারোগা

প্রাইমনারায়ণগঞ্জ.কম

১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার পর আবারও রিমান্ডে এনে মারধর করে আটকদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক শামীম আল মাসুদকে সহযোগিতা করেছে একজন সোর্স। শহরের গলাচিপা এলাকার কিসলু ওই দারোগার সোর্স হিসেবে কাজ করে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার ( ২৫ আগষ্ট ) স্কুল ছাত্রী জিসামনির কথিত প্রেমিক আবদুল্লাহ’র বাবা-মা’য়ের সাথে আলাপ করলে তারা সাংবাদিকদের জানান, আমরা আগেও বলেছি এখনও বলছি আমার ছেলে নির্দোষ। জিসামনির ঘটনার পর পুলিশের কাছে আটক হওয়ার পর থেকে এসআই শামীম আমার ছেলেকে রিমান্ডে মারধর না করার শর্তে প্রচুর টাকা দাবী করলেও সে সময় আমরা ৭ হাজার টাকা দিয়েছি। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির পরেও একদিন আমার ছেলে আবদুল্লাহকে রিমান্ডে আনেন এসআই শামীম।

ঐ রাতে এসআই শামীমের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে আমাদের ফোনে যোগাযোগ করে থানায় যেতে বলেন। পরে এসআই শামীম সোর্স কিসলুকে দিয়ে আমাদের কাছে টাকা দাবী করেন ওকে মারধর করা হবেনা বলে। আমরা প্রথমে ৫ হাজার টাকা দেই,তাতে অখুশি হয় শামীম স্যার। পরে আমার দোকানে সিগারেট কেনার জন্য রাখা টাকা থেকে আরও ২ হাজার টাকা দেই কিসলুর হাতে।

সোর্স কিসলু ঘন্টাখানেক পর আমাদের ফোন করে বলেন,কাকা শামীম স্যারকে ৭ হাজার টাকা দিছি, হে আমাকে চা খাইতে ৫০০ টাকা দিছে। আবদুল্লাহর বাবা আমজাদ আরও বলেন, মামলাটি রফাদফা করতে শামীম স্যার কিসলুকে দিয়ে আমাকে প্রস্তাবও দিয়েছে কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। কারন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার পর কিভাবে আমরা সমাধানে যাই।

তবে আটকদের স্বজনদের কাছ থেকে ৪৭ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি আসাদুজ্জামান ও এসআই শামীম।

বাছাইকৃত সংবাদ

No posts found.