
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলাউদ্দিন হাওলাদার ও তার ছেলের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক নারী। গতকাল কুতুবপুর মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমিরুন নেছা নামে ওই নারী বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় তার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালায় ইউপি মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদার (৫৮), তার ছেলে মো. তপন হাওলাদার (৩৫), সহযোগী মুন্না (২৮)। হামলায় বাদী নিজে, তার স্বামী আব্দুল মতিন ও ছেলে মো. জিহাদ গুরুতর আহত হন বলে উল্লেখ করেছন। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে পুলিশ সুপারের শরনাপন্ন হয়েছেন বলে অভিযোগ আমিরুন নেছার।
বাদীর ছেলে মো. জিহাদ বলেন, আলাউদ্দিন হাওলাদার সম্পর্কে আমার খালু হন। এর আগেও তিনি আমার মাকে একবার মারধর করেছেন। ওই ঘটনার পর থেকে তাদের সাথে আমাদের কথাবার্তা হয় না। ওই শত্রুতার জের ধরেই গত ৪ আগস্ট আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাকে, মাকে এবং বাবাকে মারধর করে আলাউদ্দিন মেম্বার, তার ছেলে তপন ও সহযোগী মুন্না।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বাদীর ছেলে জিহাদ এলাকায় চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। আত্মীয়-স্বজন হওয়াতে তার দায়ভার আমার কাঁধে আইসা পড়ে। তাকে চাঁদাবাজি করতে নিষেধ করাতে আমাকে জব্দ করার জন্য এইসব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ বিভিন্ন জায়গায় দিতেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে কুতুবপুর ইউনিয়নের মেম্বার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদারের নিজস্ব কার্যালয়ে দুই যুবককে পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, আলাউদ্দিন মেম্বারের উপস্থিতিতে হাত-পা বেঁধে দুই যুবককে কয়েকজন বেধরক পেটানো হচ্ছে।
এ সময় নিজেদেরকে বাঁচাতে কাকুতি-মিনতি জানাচ্ছে। আশপাশে থাকা লোকজন দাঁড়িয়ে দেখছিল। কেউ তাদেরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা ছাগল চুরি করেছেন। এই ভিডিও ভাইরাল হলে ১০ জানুয়ারি রাতে নির্যাতনের শিকার যুবক নাঈমের মা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় এজাহারনামীয় পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর ১৭ জানুয়ারি ভোরে ওয়ারির একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ওইদিন বিকেলেই জামিনে মুক্তি পান আলাউদ্দিন হাওলাদার।
No posts found.