
নগরীর চাষাড়ায় দুইটি গলি ও আশপাশের এলাকা রয়েছে প্রভাবশালী চক্রের দখলে। নুর মসজিদ, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পাশের গলি, শহীদ মিনারের সামনে ও পিছনের ফুটপাতসহ আশপাশের ফুটপাতকে ঘিরে দোকান প্রতি দৈনিক ৩০ থেকে ১০০ টাকা হারে মাসে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি ও বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী একটি পরিবারের উত্তরসূরী অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এদিকে পুলিশ বলছে, জানতাম গলিগুলো পরিস্কার। তবে শীঘ্রই ব্যবস্থা নিবেন বলেও আশাব্যক্ত করেন তারা।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের দু’পাশের ফুটপাত দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রায় প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তাই বঙ্গবন্ধু সড়কে হকাররা নিয়মিতভাবে আর দোকান বসাতে পারছে না। বঙ্গবন্ধু সড়কে পুলিশ ও নাসিকের ক্রমাগত অভিযানের ফলে সমস্ত হকারদের চাপ এসে পড়েছে নুর মসজিদ, পপুলারের পাশের গলি ও আশেপাশের ফুটপাতগুলোতে। এ অংশে পুলিশ ও নাসিকের কোন অভিযান না থাকায় চলছে হকারদের দখল বাণিজ্য। আর দখলের এ মহোৎসবকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একশ্রেণীর চাদাঁবাজ। এ চাদাঁবাজরা কখনো অমুক ভাইয়ের নাম ব্যবহার করে কখনো আবার তমুক ভাইয়ের নাম বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার চাদাঁবাজি করছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাষাড়ার এসকল স্থানগুলোতে প্রতিদিন প্রায় তিন শতাধিক হকাররা দোকান নিয়ে বসে। প্রতিটি হকারকে দিতে হয় ৩০ থেকে ১০০ টাকা করে। মাসে দশ থেকে বারো লাখ টাকার বাণিজ্য হয়ে আসছে। চাদঁবাজির এ পরিমাণ বছরে গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকায়। এছাড়াও প্রতিটি দোকান বাবদ ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার এমনকি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ‘জামানত’ও নেয়া হয়েছে। বিদ্যুতের প্রতি লাইট বাবদ ৩০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।
বারংবার বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দেয়া কতিপয় নামধারী নেতাদের একটি গ্রুপ এ চাদাঁবাজি করছে বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক হকাররা। ভয়ে কারো নাম প্রকাশ না করলেও তারা জানায়, বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে পুলিশ ও নাসিকের চাপ থাকায় আমরা প্রেসক্লাবের গলিতে এসে দোকানদারি করি। আর আমাদের কষ্টার্জিত এ অর্থ থেকে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ প্রতিদিন ৩০ থেকে ১০০ টাকা চাদাঁ নেয়। এছাড়াও প্রতিটি লাইটের বিল বাবদ ৩০ টাকা করে নেয়। আর এখানে দোকান বসাতে হলে তাদেরকে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা সালামী দিতে হয় বলেও জানায় এ হকার।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, এখানকার বিষয়টি আমার নলেজে নেই। আমি তো জানি এ জায়গাটি পরিস্কার। তারপরও আমি কালই দেখবো এবং ব্যবস্থা নিবো।
No posts found.