
রূপগঞ্জ সংবাদদাতা
ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে আয়োজিত রূপগঞ্জের কোরবানীর গরুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা। ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক ব্যবহার করছে না। হ্যান্ডসেনিটাইজার ও সামাজিক দুরত্বের বালাই নেই। একে অপরের সঙ্গে ঘেষাঁঘেষি করে তারা পশু কেনা-বেচা করছে। এতে করোনা সংক্রামণের আশংকা বেড়েই চলেছে।
সরেজমিনে দিয়ে জানা গেছে গোলাকান্দাইল হাট, জনতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, বেলদী দাখিল মাদ্রাসা মাঠ, ইছাখালী বালুর মাঠ সহ ৮ স্থানে বসেছে এবার কোরবানীর পশুর হাট। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে এ হাট।
শুরু থেকে হাট গুলোতে ছোট, রড়, মাঝারী আকারের গরু-ছাগল, মহিষ, ভেড়া কেনা-বেচা হচ্ছে। পশু গুলো সারিবদ্ধ ভাবে সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। পছন্দের কোরবানীর পশুটি কিনতে বিভিন্ন ভাবে যাচাই-বাছাই করে নিচ্ছেন ক্রেতারা। হরদমে চলছে বেচা-কেনা। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে পাল্টাপাল্টি মতামত।
ক্রেতারা বলছেন, তারা সাধ্যের মধ্যেই পছন্দের গরু কিনতে পারছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য গরুর দাম আশানুরূপ পাচ্ছেন না তারা। তবুও বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে হাট গুলোতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেউ। ব্যবহার করছেন না মাস্ক-হ্যান্ডসিনিটাইজার। মানছেন না শারীরীক দুরত্বও।
হাট কর্তৃপক্ষরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধির জন্য মাস্ক ও হ্যান্ডসেনিটাইজার ব্যবহার ও সামাজিক দুরত্ব মেনে পশু কেনা বেচা করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, কোরবানীর পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতী প্রতিহত করতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
No posts found.