
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আসন্ন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সরকারী দলের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে করোনা যোদ্ধা মোস্তফা চৌধুরীকে দেখতে চায় আওয়ামীলীগের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা।
তফসিল ঘোষণা না হলেও চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার সব যায়গায় নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচন অনেকেই প্রার্থী হতে পারেন। তবে, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের ফতুল্লা অঞ্চলের তথা কুতুবপুর ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের মুখে এখন পর্যন্ত থানা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও করোনায় মৃতদেহ দাফনসহ সকল সেবা দানকারী টিম মোস্তফা-১৯’ এর লিডার, জেলা পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরীর নাম উল্লেখযোগ্য ভাবে শোনা যাচ্ছে। তাদের মতে, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলেও কিন্তু এউ ইউনিয়ে সরকারী দলের যোগ্য কোনো প্রার্থী ছিলো না। তবে এবারের নির্বাচনে মোস্তফা চৌধুরী এককভাবে সরকারী দলের মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য দাবিদার বলে মনে করেন তারা। এককথায় কুতুবপুরে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাবেন মোস্তফা চৌধুরী এমনটাই ধারণা ইউনিয়ন ও ফতুল্লার সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের।

এদিকে, মহামারী করোনার সময়ে বাবার লাশ যখন সন্তানরা ধরতো না, স্বামীর লাশ যখন স্ত্রী ধরতো না তখন নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে দাড়িয়েছে করোনা যোদ্ধা মোস্তফা চৌধুরী। করোনায় মৃতদের দাফন, আক্রান্তদের সেবা দেয়াসহ কঠিন ঐ পরিস্থিতে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন এ করোনা যোদ্ধা। গঠন করেছেন টিম মোস্তফা-১৯ নামে একটি সেবাদান কারী সংগঠন। শুধু তাই নয় ৫০ জনের বেশী মৃতদেহ দাফন করে অবশেষে স্বস্ত্রীক মরণঘাতি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি।

দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসাধীণ থাকার পর করোনা জয় করে বাড়ি ফিরে পুনরায় মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের এ নেতা। এছাড়াও জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গত চার বছর যাবৎ নিজ এলাকা ও জেলার বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নমূলক কাজ, করোনার সময় দু:স্থদের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে এবং জেলা পরিষদের অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন মোস্তফা চৌধুরী।

একইসাথে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মতো কুতুবপুরের সাধারণ জনগণেরও পছন্দের তালিকায় রয়েছেন মোস্তফা চৌধুরী। সদর উপজেলার এ ইউনিয়নেও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী চায় নেতাকর্মীরা।

এছাড়াও এলাকাতে একজন সজ্জন, সৎ চরিত্রবান, সদা হাস্যজ্জল ও সদালাপি ব্যক্তি হিসাবে তার রয়েছে বিশেষ খ্যাতি। যে কারো যে কোনো বিপদের কথা শুনলেই তার সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন মোস্তফা চৌধুরী এমনটিই জানান স্থানীয়রা। এককথায় এলাকাবাসীর কাছে গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের পরম বন্ধু হিসাবে পরিচিত বিশিষ্ট এ সমাজ সেবক। তাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মোস্তফা চৌধুরীই আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হবেন বলে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে দলীয় নেতাকর্মীরা।
No posts found.