
লকডাউনের প্রথম দিন থেকে সরকারি নির্দেশ মেনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ ফেরী চলাচল। ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলে দীর্ঘ ৩ মাস ৬দিন বন্ধ ছিলো ফেরী সার্ভিস। যার জেরে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন বহু যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।
অবশেষে, চালু হল হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ রুটের ফেরি চলাচল। বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানান, “করোনা সম্পর্কিত সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে ফেরিতে উঠতে হবে। মাস্ক না ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর ফের ফেরি চালু হওয়ায় খুশি নিত্যযাত্রী ও যানবাহন চালকরা।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ রুটে যান চলাচল ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ভোগান্তি লাঘবে গত ১লা জুলাই থেকে পুনরায় চালু হয়েছে ফেরীসেবা। দীর্ঘ ৩ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর আবার ফেরী চলাচল শুরু হয় এ রুটে। এত দিন বন্ধ থাকার পর ফের ফেরী সেবা শুরু হওয়ায় বন্দর থেকে সদর আসতে এবং সদর থেকে বন্দর যেতে যানবাহন ও যাত্রীদের অনেক সুবিধা হয়েছে। জীবিকার জন্য, চিকিৎসার জন্য সদরে আসতে ফেরী সার্ভিসটি সদর-বন্দরবাসীর কাছে খুবই জনপ্রিয়। তাই খুশি যাত্রীরা। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করছে বলেও জানা যায়।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ রুটে ফেরি চলাচল করছে। আর এতে করে ভোগান্তি লাঘব হয়েছে জনগনের। হাজীগঞ্জ ঘাট থেকে ফেরিতে করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরির মালামাল বহনকারী বেশ কয়েকটি পিকআপ ভ্যান, ট্রাক ও ছোট ছোট যানবাহন যাচ্ছে বন্দরের উদ্দেশ্যে। একই দৃশ্য হাজীগঞ্জের ঐপারে নবীগঞ্জেও। নবীগঞ্জ ঘাটে বেশ কয়েকটি ট্রাক এসে পাড়ি জমিয়েছে সদরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। এসব যানবাহনের সাথে সাধারণ যাত্রীদের চাপও ছিলো চোখে পড়ার মতো।
এসময় কথা হয় পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভার মন্টু মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, ভাই আমাদেরকে প্রায়ই কোম্পানির মালামাল নিয়ে বন্দরে আসতে হয়। কিন্তু এতোদিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সেই কাঁচপুর হয়ে মদনপুর দিয়ে আসতে হতো। দুরত্ব বেশী হওয়ায় ভাড়া পুষতো না। ফলে ট্রিপ ছেড়ে দিতাম। এখন ফেরি চালু হওয়ায় আগের মতো যাতায়াত করতে পারছি। তাই খুব ভালো লাগছে।
উল্লেখ্য, নদী পারাপারে সদর-বন্দরবাসীর কষ্ট দুর করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানের চেষ্টায় ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো চালু হয় হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ রুটের ফেরী চলাচল। করোনা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ ছুটির আওতায় দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর ঠিকাদার শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র অনুমোদন হওয়ার পর গত ১লা জুলাই থেকে পুনরায় এ রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
No posts found.