৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, দুপুর ১২:২৭

গির্জায় গির্জায় করোনামুক্তির প্রার্থনা

প্রাইমনারায়ণগঞ্জ.কম

প্রাইম নারায়ণগঞ্জঃ

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড়দিন করোনামুক্তির প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে। শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের সাধু পৌলের গির্জা ও সিরাজউদ্দৌলা সড়কের ব্যাপ্টিস্ট চার্চকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। তৈরি করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।

ওইদিন সকাল থেকে জেলা শহরের দুটি গির্জায় উৎসব পালনে মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। পরে ধর্মীয় নিয়ম নীতি পালন করে দুপুরে কেক কাটা হয়।

বড়দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ কেক নিয়ে গির্জায় উপস্থিত হয়ে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।

কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন আগের চেয়ে ৭০ গুন বেশী আঘাত করতে সক্ষম। এজন্য আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রার্থনা করি যেন আবারো পৃথিবী সুস্থ হয়ে উঠে এবং একটি সমৃদ্ধশালী ও সুখী বাংলাদেশ গড়ে উঠে। আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে , মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

সাধু পৌলের গির্জার ফাদার ইলিয়াস হেনড্রম বলেন, করোনা মহামারির কারণে সীমিত আকারে শুধুমাত্র প্রার্থনা দিয়েই শেষ হয় বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা।

জানা যায়, ‘খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী দুটি গোত্রের (ক্যাথলিক ও ব্যাপ্টিস্ট) জন্য নারায়ণগঞ্জ শহরে দুটি গির্জা রয়েছে। ক্যাথলিকদের জন্য শহরের ১৩৫ বঙ্গবন্ধু সড়কে সাধু পৌলের গির্জা ও ব্যাপ্টিস্টদের জন্য সিরাজউদ্দৌলা সড়কে ব্যাপ্টিস্ট চার্চ। ব্যাপ্টিস্ট চার্চটি ১৮৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। চার্চ প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রেভারেন্ড রামচরণ ঘোষের নাম বিশেষভাবে উল্লেযোগ্য।

এ চার্চে ধর্মীয় আচার ছাড়াও বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজকর্মও হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে চিকিৎসা সেবা, মাতৃসদন, শিক্ষাদান উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে সাধু পৌলের গির্জা ১৯৪৯ সালে ইতালিয়ান ফাদার জন সে ক্যাথলিক গির্জা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৭ বছর ধরে বড়দিন আসলেই সিটি করপোরেশনের সহায়তায় দুটি গির্জাকে রঙ করে দেয়া, তোরণ নির্মান এবং আলোকসজ্জা করে দেয়া হয়। এ বছরও তা করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও মশার ঔষধ ছিটানো হয়েছে।

বাছাইকৃত সংবাদ

No posts found.