
নারায়ণগঞ্জ জেলা-মহানগর যুবলীগের সম্মেলন না হওয়ায় নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন ধরে নতুন কমিটি গঠন না হওয়ায় দলীয় হতাশ হয়ে নিস্ক্রিয় হচ্ছেন অনেকেই। অনেকে আবার রাজনীতির প্রতি উৎসাহ হারিয়ে বিকল্প পথ বেছে নিতে শুরু করেছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছে না জেলা ও মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। এতে একদিকে যেমন দক্ষ নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে না, তেমনি ঝরে পড়ছে ত্যাগী ও পরীক্ষীত নেতৃত্ব।
জানা যায়, ২০০৩ থেকে ২০১১, ২০১১ থেকে ২০১৮ নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করে দুটি কমিটি। তবে এই দুই কমিটির গুটি কয়েকজন নেতা বাদে অন্তত: শতাধিক ছাত্রনেতার ঠাঁই মেলেনি যুবলীগের প্লাটফর্মে। এতে হতাশ হয়ে অনেকেই নিস্ক্রিয় হচ্ছেন। মুখ থুবড়ে পড়েছে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রয়োজন অনতিবিলম্বে জেলা ও মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেক নেতাকর্মীরাই ছাত্রলীগের পর যুবলীগ করার প্রত্যাশা নিয়ে সরব থাকেন দলীয় কর্মকান্ডে। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে নতুন কমিটি গঠন না হওয়ায় তাদের এ প্রত্যাশা যেন কিছুতেই পুরণ হচ্ছে না।
দলীয় সুত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে আব্দুল কাদির জেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভিপি বাদল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর আজ অবদি জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় নি। এর এক বছর পূর্বে অর্থ্যাৎ ২০০৫ সালে শহর যুবলীগের সভাপতি হন শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু ও সাধারণ সম্পাদক হন আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জল। ১৪ বছর আগের শহর যুবলীগের কমিটি দিয়েই চলছে মহানগর যুবলীগের কার্যক্রম। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদে আসীন হন আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হন ভিপি বাদল।
সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবলীগের একাধিকবার কমিটি গঠন নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত আর কমিটি গঠন হয় নি। সঙ্গত কারণে হতাশার ছাঁপ পড়ে তৃণমূল থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতাকর্মীর মাঝে। হতাশার কাতারে সাবেক ছাত্রনেতাদের লম্বা লাইনতো আছেই। নেতাকর্মীরা বলছেন, সাবেক ছাত্রনেতাদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন হলে সংগঠনটি আরও বেগবান ও উজ্জীবীত হবে। এজন্য পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অব্যাহত প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা।
এদিকে, যুবলীগের নানা কর্মসূচি ও দলীয় কর্মকান্ডে একাধিক নেতাকর্মী নিয়ে শোডাউন দিতে দেখা গেছে সংগঠনের জেলা শাখার বিভিন্ন পদপ্রার্থী অনেক নেতাকর্মীদের। একই চিত্র মিলেছে মহানগর যুবলীগের বিভিন্ন পদপ্রার্থী নেতাকর্মীদেও মাঝে। পদ-প্রত্যাশী এসকল নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মকান্ডে সর্বদা সরব থাকেন বলেও জানা যায়। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের অন্যতম শক্তি এই যুব সংগঠনটির জেলা ও নগর শাখার নেতৃত্বে আসতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা বলছেন, সংগঠনকে চাঙ্গা করত্বে নবীন-প্রবীন মিলিয়ে জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি গঠনের বিকল্প নেই। বিএনপি-জামাতের জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন থেকে শুরু করে, বিগত দিনে দলের সকল কর্মকান্ডে যাদের ভূমিকা ছিল তাদের নিয়েই কমিটি গঠন করার দাবী করেন তারা।
No posts found.