
নগর প্রতিবেদকঃ
পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল হলেও অগ্রহায়ণ মাস থেকেই শীতের সূচনা হতে থাকে। শীতের আগমন পত্রকুঞ্জে এবং জলে-স্থলে সর্বত্রই যেন পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। আজ কার্তিক মাসের ১২ তারিখ হলেও কিছুদিন ধরেই খুব সকালে দেখা মিলে হালকা কুয়াশার। মনে হচ্ছে শীত যেন এসেই পড়ল। নারায়ণগঞ্জে এখনও হালকা হলেও জেলার আশপাশের এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলে শীতের ছোঁয়া লাগছে শুরু করেছে। এরইমধ্যে নারায়ণগঞ্জের ফুটপাতের পোশাক বিক্রির দোকানগুলোতে গরমের হালকা পোশাকের পাশাপাশি বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে শীতের ভারি কাপড়।
মঙ্গলবার ২৭শে অক্টোবর সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের আলী আহমদ চুনকা পাঠাগারের সামনে ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে শীতের কাপড়। তবে এমন চিত্র দেখা যায়নি ব্র্যান্ডের দোকান বা শপিং মলগুলোতে।
নগরীর ডিআইটি, দুই নং রেলগেইট এলাকা, কালির বাজার, বঙ্গবন্ধু সড়কের আশে পাশের ফুটপাতের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, নানা ধরনের শীতের কাপড় উঠেছে সেখানে। বিক্রিও হচ্ছে মোটামোটি। ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় পূর্ণাঙ্গ শীত আসার আগেই প্রয়োজনীয় পোশাক বেশ সহজেই ক্রয় করছেন ক্রেতারা।
ফুটপাতে থাকা দোকানগুলোতে উল্লেখযোগ্য পোশাকের মধ্যে দেখা যায়, ফুলহাতা শার্ট- টি-শার্ট, ট্রাউজার, নারীদের মোটা কাপড়ের টপস ,কার্ডিগান বা পশমী , হাতা কাটা সোয়েটার, লং জ্যাকেট, শাল, মাফলার বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাকও পাওয়া যাচ্ছে।
শিবু মার্কেট এলাকার কাউসার আহম্মেদ প্রাইম নারায়ণগঞ্জকে বলেন, শীত কিছুদিন পর চলে আসবে এখন ভারি কাপড় ক্রয় করলে অনেকটা কমদামে পাওয়া যায়। তিনি জানান, আমাদের মত মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তের অনেকেই শপিং মলে গলাকাটা দামের ভয়ে যেতে চাই না।
ইসদাইর এলাকার আসমা খাতুন নামে এক গৃহিণী জানান, শহরে বাজার করতে এসেছিলাম সন্তান ও নিজের জন্য শীতের পোশাক কিনতে একটু ঘুরে দেখছি। তিনি জানান, গ্রামে শাশুড়ি থাকে তার জন্য সেখানে শীতের পরতে শুরু করেছে। তার জন্য শীতের ভারি কাপড় ক্রয় করতে চেষ্টা করছি।
চুনকা পাঠাগার এলাকায় হালিম নামে এক বিক্রেতা জানান, অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতে ভালো বেচা হয়। দিন যত যাবে বিক্রিও বাড়বে। আমাদের এখানে দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। সবাই ডেকে ডেকে একদামে বিক্রি করছেন। কাস্টমার অনুযায়ী ৫০-১০০ বেশি রাখেন বলেও জানান তিনি।
প্রাইম/এসএম
No posts found.