৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৭:০১

অনুমোদনহীন ১৭ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে এ মাসেই অভিযান

প্রাইমনারায়ণগঞ্জ.কম

প্রাইম প্রতিবেদকঃ

নারায়ণগঞ্জের ২০টি ক্লিনিক-ডায়গনষ্টিক সেন্টার বৈধ লাইসেন্স পেতে যথাসময়ে আবেদন করেননি। কেউ কেউ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছে বছরের পর বছর। অনেকের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে বহু আগে, কিন্তু তা নবায়নের নাম নেই। অনুমোদন ছাড়া চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে কারা চিকিৎসা দিচ্ছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বাড়ছে অপচিকিৎসার অভিযোগ।

সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ‘মাইন্ড এইড’ নামের অনুমোদনহীন একটি হাসপাতালে পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করে মেরে ফেলার পর দেশজুড়ে অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তালিকা ধরে বন্ধের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ গেছে সিভিল সার্জনদের কাছে।

জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর সারা দেশে অনুমোদিত ও অনুমোদনহীন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাঠাতে বিভাগীয় পরিচালকদের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে বিভাগীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো তথ্য নিয়ে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

১৯৮২ সালের মেডিকেল অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনেস্টিক সেন্টার চালানোর সুযোগ নেই। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো বছরের পর বছর চালিয়ে যাচ্ছে তাদের চিকিৎসা সেবা। ওই সকল ক্লিনিকগুলো কতটুক মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে তা জানা নেই অনেকেরই।

এদিকে জেলার অনুমোদনহীন ২২ টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের অভিযানে বুধবার  মাঠে নেমেছিল প্রশাসন। ওইদিনের অভিযানে লাইসেন্স ও চিকিৎসক ছাড়াই অপারেশনসহ সেবা দেওয়ার অভিযোগে ৩টি ক্লিনিক সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

ওইদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের খানপুর ও ডন চেম্বার এলাকায় আশশিফা ডায়াগনস্টিক এন্ড জেনারেল হসপিটাল, নিউ সম্রাট জেনারেল হাসপাতাল ও সোহেল জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়।

এদিকে অনুমোদনহীন ১৯টি ক্লিনিক রয়েছে এগুলো হলো, মেট্রোহল চত্বরের সোহেল জেনারেল হাসপাতাল, খানপুরের আশশিফা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার,খানপুরের সম্রাট জেনারেল হাসপাতাল, চাষাঢ়া জাকির সুপার মার্কেটের লাইফ জেনারেল হাসপাতাল, মনির টাওয়ারে অবস্থিত ভিশন আই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টার,ডিআইটির জে এস সুপার মার্কেটের সহিতুন নেছা লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল, নাগবাড়ি এলাকার নারায়ণগঞ্জ ডায়বেটিক হাসপাতাল, শিবু মার্কেটের সেতু জেনারেল হাসপাতাল,সিদ্ধিরগঞ্জ কদমতলী পুল এলাকার কদমতলী জেনারেল হাসপাতাল, চিটাগাং রোড ডাচ বাংলা ব্যাংক সংলগ্ন পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল,সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাকের কনক জেনারেল হাসপাতাল,পঞ্চবটি চৌরাস্তার মেলোডি ডায়গনস্টিক সেন্টার, পঞ্চবটির মেরী স্টার জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ল্যাব,গোদনাইল এস ও রোডের আধুনিক জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার,২ নং ঢাকেশ্বরী মেডিফ্যান ডিজিটাল ডায়গনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, রূপগঞ্জের ভূলতার হযরত শাহজালাল (রঃ) হাসপাতাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার, আড়াইহাজার বাজার ভূইয়া প্লাজার আড়াইহাজার জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেড।

বাকি ১৭ ক্লিনিকগুলোর বিষয়ে কবে নাগাদ অভিযান ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ ইমতিয়াজ প্রাইম নারায়ণগঞ্জকে বলেন, অনুমোদনহীন ২০টি ক্লিনিকের মধ্যে ৩টি ক্লিনিককে গতকাল সিলগালা করা হয়েছে। বাকি ১৭টি ক্লিনিক-ডায়াগনষ্টিকের বিষয়ে চলতি মাসের মধ্যেই আমরা অভিযান পরিচালনা করবো। তিনি আরও বলেন, লাইসেন্সহীন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও যেসকল প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কাগজপত্র ও আইনত নিয়ম না মেনে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে তাদের বিষয়েও আমরা অভিযানে নামবো।

বাছাইকৃত সংবাদ

No posts found.