
প্রাইম নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, কেউ কেউ চন্দনরে বরিশাল পাঠায়, আমারে দাউদকান্দি পাঠায়, আচ্ছা যা পাঠাইলে পাঠা আমার কোনো অসুবিধা নেই। এগুলির মধ্যে আমার কোনো রাগ-গোস্যা নেই এখন, যে যেইটা ভালো মনে করে বলুক, মুখ আছে বলবেই। মহল্লার ভিতরে অনেকেই দৌড়াদৌড়ি করে, রাস্তায় রাস্তায় ঘেউ ঘেউ করে। এখন ওরে আর কি বলা যায় এই ঘেউ ঘেউ করিস না।
বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলী কর্তৃক আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে এ কর্মী সভার আয়োজন করা হয়।
শামীম ওসমান বলেন, আমি কোথাও কোনো জায়গা দখল করি নাই, অনেকে দখলবাজি করে নারায়ণগঞ্জে, সবার জায়গা দখল কনরা ফেলায়। দখল করে মার্কেট মুর্কেট করে, বেইচা-বুইচা কারে দেয়, বাদলের (ভিপি বাদলের) আত্মীয়-স্বজন যারা আছে, আমি জানি না এরা কারা।
তিনি বলেন, ১৬ জুন আমাদের উপর বোমা হামলা হলো অপরাধ কি? যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটিতে স্বাধীণতা বিরোধী শক্তি আসতে পারবেনা। তৎকালীণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিলো। “গোলাম আযম এবং কুকুরের প্রবেশ নিষেধ”। যে এলাকার নাম এখন সাইনবোর্ড হয়ে গেছে। সাইনবোর্ড লাগানোর পরে আমাদের উপর হামলা করা হলো, ২০ জন মানুষ মারা গেলো। অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছি, এখনো হুইল চেয়ারে বসে নামাজ পড়ি।
কর্মী সভা ডাকার বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, এক সময় বলেছিলাম আর নির্বাচন করবো না। তখন ভেবেছিলাম দেশের প্রায় সব কাজ শেষ। দেশটা একটা অবস্থানে চলে এসেছে। তবে এখন দেখি ঠিক উল্টো টা, ষড়যন্ত্র আরও বাড়ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা দেশটাকে পুরো অকার্যকর রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র করছে। তাই এখন বলছি, বিদায় নিবো না উল্টো ষড়যন্ত্রকারীদের বিদায় দিবো।
ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীর সঞ্চালনায় এ কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, এনায়েতনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, পিপি এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তফা কামাল, বৃহত্তর মাসদাইর আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিউর রহমান প্রধান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম প্রমুখ।
No posts found.