
প্রাইম নারায়ণগঞ্জঃ
ঋতু পরিবর্তনে অগ্রহায়ণ মাস থেকেই শীতের সূচনা হতে থাকে। পত্রকুঞ্জে ও জলে-স্থলে সর্বত্রের পরিবর্তন বলে দিচ্ছে শীতকাল এসে পড়েছে। সপ্তাহ ধরে সকাল-বিকেল দেখা মিলে হালকা থেকে ঘণ কুয়াশার। নারায়ণগঞ্জে শহরে শীতের উষ্ণতা হালকা হলেও জেলার আশপাশের এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলে শীতের উষ্ণতা বেশ ভারি।
ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই শহরের ফুটপাতের পোশাক বিক্রির দোকানগুলোতে বিক্রি শুরু হয়েছে শীতের ভারি কাপড়। তুলনামূলক কম দামে শীতবস্ত্র ক্রয় করতে মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্তদের ভরসা এসকল দোকানে । তবে শুক্রবার শহরের অধিকাংশ মার্কেট বন্ধ থাকায় সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে এদিন দোকান ও ক্রেতা সংখ্যা অনেক বেশিই।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সড়কের দুইপাশে ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে শীতের কাপড়। সেই সাথে দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায় । নগরীর ডিআইটি, দুই নং রেলগেইট এলাকা, কালির বাজার ও বঙ্গবন্ধু সড়কের আশে পাশের ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
ফুটপাতে পোশাকের দোকানগুলোতে দেখা যায়, ফুলহাতা শার্ট- টি-শার্ট, ট্রাউজার, নারীদের মোটা কাপড়ের টপস ,কার্ডিগান বা পশমী , হাতা কাটা সোয়েটার, লং জ্যাকেট, শাল, মাফলার বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাকও পাওয়া যাচ্ছে।
ফতুল্লার ইসদাইর এলাকার কামরুল ইসলাম বলেন, মধ্যবিত্তদের জন্য ফুটপাতের দোকানগুলোই একমাত্র ভরসা। তাছাড়া শুক্রবারে অনেকের কর্মস্থল বন্ধ থাকার কারণে ফুটপাতের দোকানে কেনাকাটা করতে আসেন। মার্কেটের তুলনায় এখানে কম দামে শীত বস্ত্র ক্রয় করা যায়।
তিনি জানান, ১ হাজার টাকায় আমার ছেলের জন্য জ্যাকেট কিনেছি। আর নিজের জন্য হাতা কাটা সোয়েটার ক্রয় করেছি যার মূল্য ৬’শ টাকা।
আয়েশা খাতুন নামে এক গৃহিণী জানান, সন্তান ও নিজের জন্য শীতের পোশাক কিনতে একটু ঘুরে দেখছি।দাম সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করি। মোটামুটি বাজেট নিয়ে পরিবার সদস্যদের জন্য শীত বস্ত্র ক্রয় করা যায়।
বঙ্গবন্ধু সড়কের এক বিক্রেতা জানান, শীতকাল আমাদের ব্যবসায়ের সিজন। দিন যত যাবে বিক্রিও বাড়বে। আমাদের এখানে দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই তাই সব শ্রেণির মানুষ আমাদের এখানে কেনাকাটা করতে আসেন। শুক্রবার বন্ধের দিনে ক্রেতাদের ভিড় অনেকটা বেশিই।
No posts found.