
প্রাইম নারায়ণগঞ্জ:
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযুক্ত সড়ক যানজটময় সড়কে পরিণত হয়েছে। এই সড়কের শুরু সাইনবোর্ড থেকে চাষাড়ায় যেতে জালকুড়ি ও শিবুমার্কেটেই বসে থাকতে হয় ১ ঘন্টার মত। করোনার প্রাদুর্ভাবে এই সড়কে যানজটের ভোগান্তির মুক্তি মিললেও এখন ফিরেছে আগের রূপে। গেল দুই সপ্তাহ ধরে সকাল থেকে শুরু করে প্রায় রাত পর্যন্ত লেগে থাকে যানজট। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অফিস ফেরত ও ঘরমুখো মানুষদের।
সরজমিনে দেখা যায়, সাইনবোর্ড থেকে নগরির চাষাড়ায় পৌঁছতে সর্বোচ্চ সময় ২৫ মিনিট লাগলেও এখন লাগছে এক ঘন্টার উর্ধ্বে। শুরুটা একটু দ্রুততর হলেও আটকে যায় জালকুড়িতে। এখানে প্রায় আধ ঘন্টার মত বসে থেকে কচ্ছপ গতিতে পৌঁছায় শিবুমার্কেটে । এখানেও আধ ঘন্টা বা তার বেশী সময় ধরে বসে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।এক হলো যানজট অন্যদিকে ময়লারস্তূপের দূর্গন্ধে মাস্ক মুখে দিয়েও বসে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে তাদের।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের জালকুড়ি স্ট্যান্ড দিয়ে ডানে পাগলা এবং বামে সিদ্ধিরগঞ্জ যাতায়াতের সংযোগ সড়ক হওয়ায় দুদিক থেকেই মানুষ যাতায়াত করে। অন্যদিকে শিবু মার্কেটের ডানে পাগলা-পঞ্চবটি ও ডানে সিদ্ধিরগঞ্জ সংযোগ সড়ক রয়েছে। এর ফলে দ্রুত যাতায়াতের জন্য সংযোগ সড়কগুলো মানুষ যাতায়াত করে । তবে অভিযোগ রয়েছে এ দুই সংযোগ সড়কে নেই পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা। ফলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযুক্ত সড়কে যাতায়াতকারী মানুষদের ভোগান্তির পোহাতে হচ্ছে।
অফিস শেষে করে বাসায় ফিরছিলেন রিফাত। তার বাসা লিংক রোড সংলগ্ন চানমারী এলাকায় । প্রাইম নারায়ণগঞ্জকে তিনি বলেন, বিকেল ৫টায় সাইনবোর্ড থেকে সিএনজিতে উঠি। এখন পৌনে ছয়টা। শিবু মার্কেটেও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। গরম ও যানজটে দিন দিন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
জালকুড়ি এলাকার চা দোকানি সুমন মিয়া (৩০) বলেন, এখানে দিনের অধিকাংশ সময় যানজট লেগেই থাকে। বিভিন্ন রুটের ট্রাক, বাস এই রাস্তা শর্টকাট হিসেবে ব্যাবহার করার জন্যে ঢুকে, ফলে রাস্তা সরু বিধায় দুটো ট্রাক ক্রস করতে পারে না। রাস্তা আরেকটু প্রশস্থ ও ট্রাফিক পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন তিনি।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, জালকুড়ি ও শিবু মার্কেটে প্রচুর যানজটের সত্যতা স্বীকার করি। লিংকরোড দিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে অটোরিক্সা, ট্রাক এসে শহরে প্রবেশ করে। তিনি জানান, যানজট নিয়ন্ত্রণে আমাদের পর্যাপ্ত জনবল নেই। বিকেলে অন্য স্থানের ট্রাফিক পুলিশ এসে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে এই সমস্যা নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের সাথে সওজ, সিটি কর্পোরেশনসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানেরও সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে।
No posts found.